মাদ্রাসা বলতে আমরা সাধারণত ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বুঝি। বাংলাদেশে মাদ্রাসা গুলোতে ইসলাম ধর্ম ও আরবী ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি মানবিক, বিজ্ঞান ও অন্যান্য সামাজিক বিষয় গুলোকেও পড়ানো হয়। মাদ্রাসা শিক্ষা কোন একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা নয়। মাদ্রাসা শিক্ষার মধ্যে রয়েছে অনেক ধারা ও উপধারা। মাদ্রাসা ও সাধারণ শিক্ষা পদ্ধতির মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে আনা প্রয়োজন। মাদ্রাসা পড়ুয়ারাও আমাদের সমাজের অংশ। মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ অক্ষুন্ন রেখে তাহাদের মতামত ও সন্তোষ্টিকে সম্মান করে প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে আসতে পারলে তারা সমৃদ্ধ জাতি গঠনে অবিচ্ছেদ্য কারিগর হিসাবে ভূমিকা রাখতে পারবে। ইসলাম একটি পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। তাই আমাদের সন্তানকে সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি পরিপূর্ন ইসলামী শিক্ষা দানের ব্যবস্থা করা নৈতিক দায়িত্ব।
শিক্ষা ছাড়া মানুষ যেমন নিজেকে জানতে পারেনা, তেমনি পারেনা তার রবকে চিনতে। শিক্ষার দ্বারা মানুষ আলোকিত হয়, সত্য সুন্দরের পথে প্রাপ্ত হয়, শাশ্বত মূল্যবোধ সম্পন্ন হয়। মানব জীবনে শিক্ষার এই অপরিহার্যতাকে আমরা উপলব্দি করতে পারি। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর স্মরনীয় বাণী থেকে বিদ্ব্যানের কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও মূল্যবান। অতএব, শিক্ষার কোন বিকল্প নাই্। শিক্ষক একজন মানুষকে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন করে আদর্শ নাগরিক সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। কর্মনিষ্ঠ সময় সচেতন, আত্ননির্ভশীল ও আত্নবিশ্বাসী হতে অনুপ্রানীত করে। আমাদের এই ওয়েব-সাইটটি খোলার মাধ্যমে মাদ্রাসার সামগ্রিক মান উন্নয়ন ও তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করনে একটি নতুন যাত্রা যুক্ত হবে এই প্রত্যাশা করছি।
আসসালামু আলাইকুম,
সুপ্রিয় সুধীজন, মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের প্রথম বাণী হল ইকরা অর্থ্যাৎ পড়, মানব জাতীর মুক্তির সনদ আল-কুরআনের এ বাণীই প্রমান করে পড়া তথা শিক্ষার প্রতি কিরুপ গুরুত্ব, এ শিক্ষা শুধুমাত্র পূথিগত শিক্ষাই নয় । যে শিক্ষা মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে যাবে । আর শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ করে সক্ষম ব্যক্তিত্বে পরিণত করবে । আমরা এ মহান দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি । আপনাদের সার্বিংক সহযোগীত ও দোয়া পেলে গ্রামীন এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিযোগীতা করার মত অবস্থানে নিয়ে যেতে পারব বলে আশা রাখি, ইনশাআল্লাহ । আল্লাহ আমাদের সহায় হোন ।
আলহাজ্ব আতিক আম্বিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি অতি মনোরোম সুন্দর শিক্ষা বান্ধব পরিবেশে অবস্থিত একটি ধর্মীয় অত্যাধুনিক দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠাতা এবং ম্যানেজিং কমিটি অত্যান্ত দক্ষতার সহিত শিক্ষার মান উন্নায়নে শিক্ষকদের সর্বদা সহোযোগীতা করে থাকের। ফলে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করে উন্নত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুযোগ লাভ করে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় সকল প্রকার নিয়ম নীতি অনুসরন ও জাতীয় সকল দিবস গুলো যথাযোগ্য মর্যাদার সহিত পালন করে থাকে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে উন্নত শিক্ষা লাভের জন্য আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে যোগ্যতা অর্জনের লক্ষে অত্র প্রতিষ্ঠানে আপনার সন্তানকে ভর্তি করার জন্য বিণীত অনুরোধ করা হলো।
নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলাধীন ১১ নং চিরাং ইউনিয়নের অর্ন্তগত বাট্রা গ্রামে অত্যান্ত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে সরকারী তহসিল অফিস সংলগ্ন “আলহাজ্ব আতিক আম্বিয়া দাখিল মাদ্রাসা” অবস্থিত। মাদ্রাসার পাশে রয়েছে পাকা রাস্তা, সবুজ চত্তর এক অপরুপ প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলেছে যা ছাত্র- ছাত্রীদের মাদ্রাসায় উপস্থিতির ক্ষেত্রে আকর্ষন সৃষ্টি করে।
১১নং চিরাং ইউনিয়ন পরিষদের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব আতিকুর রহমান ভূঞা একজন সু-পরিচিত সমাজ সেবক , শিক্ষানুরাগী ব্যাক্তি ছিলেন। তিনি কেন্দুয়া সরকারী কলেজ, কেন্দুয়া জয়হরী স্প্রাই সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, কেন্দুয়া সাবেরুনন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচিত সদস্য ও সভাপতি হিসাবে শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে গেছেন। তিনি বাট্রা গ্রামের একজন কৃতি সন্তান ছিলেন। তিনি জীবদ্দশায় িএলাকার সকল মানুষের সার্বিক উন্নয়নকল্পে সচেষ্ট ছিলেন। সমাজের বিভিন্ন স্তরে তার সরব উপস্থিতি ছিল। তিনি এলাকার কোমলমতি ছেলে- মেয়েদের কথা চিন্তা করে ১৯৯৩ সনে তার প্রয়াত পিতার নামে নিজ গ্রামে নামধর ভূঞা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি চিরাং বাজার শাহী জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা সহ এলাকার বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসার সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এলাকার জন সাধারনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরনে এবং পিছিয়ে পড়া ছেলে মেয়েদের কথা চিন্তা করে স্কুল, কলেজ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন। তিনি গত- ১৫.০৩.২০০২ইং তারিখ মৃত্যু বরণ করেন।
আদর্শ সুশীল সমাজ গঠন, সুন্দর সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে শিক্ষার বিকল্প নাই। সে রকম শিক্ষার দর্শন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কে সামনে রেখে প্রয়াত পিতার স্বপ্ন পিতার স্বপ্ন পূরনে তার বড় সন্তান চিরাং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট মোঃ নাজমুল হক ভূঞ (কচি) তার পিতা ও মাতার নামে ধর্মীয় শিক্ষার উন্নয়নে একটি দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার লক্ষে কেন্দুয়াস্থ চেয়াম্যান বাড়ি বাস ভবনে এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে একমত বিনিময় সভার আয়োজন করেন। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাট্রা তথা অত্র এলাকার সুনামধন্য ব্যক্তি মাওলানা আব্দুর করিম খান। উক্ত সভায় সকলের ঐকমতে “ আলহাজ্ব আতিক আম্বিয়া দাখিল মাদ্রাসা ” নামে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনে এডভোকেট মোঃ নাজমুল হক ভূঞা (কচি) সাহেব কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ প্রহনের অনুরোধ জানান । তিনি নিজ গ্রামে ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের ঐক্যমতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আশ্বস্থ করেন যে, আপনাদের সকলের সহোযোগীতা পেলে একটি মান সম্পন্ন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য এককভাবে আমাদের পরিবার থেকে প্রয়োজনীয় ভূমি ও অর্থের যোগান দেয়া হবে । এ লক্ষ্যে নয় সদস্য বিশিষ্ঠ একটি সংগঠনিক ও বাস্তবায়ন কমিটি এবং ভবিষ্যতে ট্রাষ্টের মাধ্যমে পরিচালনার লক্ষে সাত সদস্য বিশিষ্ঠ “ ভূঞা কল্যান ট্রাষ্ট ” গঠন করা হয় । অতঃপর ২০০২ সন হইতে “ আলহাজ্ব আতিক আম্বিয়া দাখিল মাদ্রাসা ” নামে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয় ।
(১) স্ত্রী- আলহাজ্ব আম্বিয়া রহমান ভূঞা (২) ছেলে- এডভোকেট মোঃ নাজমুল হক ভূঞা (কচি) (৩) প্রয়াত মোঃ এনামুল হক ভূঞা (৪) ডাঃ মোঃ আমিনুল হক ভূঞা (৫) মোঃ সাজেদুল হক ভূঞা (৬) মেয়ে- মিমি ফারহানা হক (৭) সাবিয়া হক, নিজ গ্রামে বাট্রাতহসিল অফিস সংলগ্ন অত্যন্ত মূল্যবান ৭৫ শতাংশ ভূমি প্রতিষ্ঠানের নামে রেজিষ্ট্রি দলিল মূলে হস্তান্তার করেন । তাহাদের সম্পূর্ন নিজস্ব অর্থায়নে সরকারী বিধি-বিধান অনুসরন করে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয় । মাদ্রাসাটিতে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে ।
“ আলহাজ্ব আতিক আম্বিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি ” অত্র এলাকা তথা চিরাং ইউনিয়নের মধ্যে একমাত্র ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । নীতিনৈতিকতা সম্পন্ন সমাজ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের আগাশী দিনের কর্তব্য পরায়ন ও দায়িত্বশীল সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য মূল্যবোধ ভিত্তিক ধর্মীয় ও উন্নত আদর্শ শিক্ষাদান করাই মাদ্রাসার মূল উদ্দেশ্য ।
© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত মাদ্রাসা কতৃপক্ষ